NID অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে ভালো আছেন।  প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি।  আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি,কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন থেকে ডাউনলোড করবেন।

 অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে।  তাই আজকে আর্টিকেল টি  প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন চলুন দেখে নেওয়া যাক আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা। 

NID ডাউনলোড করার নিয়ম 

আজকের আর্টিকেলে  দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার মোবাইল ফোন থেকে ভোটার আইডি ডাউনলোড করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দেখুন।

নতুন ভোটার নিবন্ধনের পর, ভোটার আইডি কার্ড নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়। নির্দিষ্ট সময় পর, ভোটার আইডি কার্ডটি অনলাইনে ডাউনলোড করা সম্ভব হয়, এবং এই অনলাইন কপিটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি আপনি সম্প্রতি নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে থাকেন এবং ভোটার ফরম পূরণ করেছেন, তাহলে আপনার স্লিপ নম্বর বা এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে যা যা লাগবে

NIDW থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে দুইটি ডিভাইস প্রয়োজন হবে। প্রথম ডিভাইসটি ব্যবহার করে আপনাকে NIDW-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে, এবং দ্বিতীয় ডিভাইস (অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন) দিয়ে আপনাকে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।

এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য উক্ত ডিভাইসগুলোতে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

এছাড়াও, আপনাকে নীচের তথ্যগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে:

  • ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নম্বর অথবা NID নম্বর
  • জন্ম তারিখ
  • বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা)
  • সচল মোবাইল নম্বর (OTP ভেরিফিকেশনের জন্য)

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে লগইন করতে হবে। যদি আপনার কোনো অ্যাকাউন্ট না থাকে, তবে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন করা যায়। এই প্রক্রিয়াটি আপনার এনআইডি নম্বর অথবা স্লিপ নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে করতে হবে। নিবন্ধন সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আপনার প্রোফাইল থেকে ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করা যাবে।

নিবন্ধন করার সহজ এবং দ্রুততর পদ্ধতি গুলো নিচে তুলে ধরা হলো –

১।Nidw পোর্টাল এর নিবন্ধন পেইজে ভিজিট করুন

২। আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার অথবা এন আই ডি নাম্বারটি টাইপ করুন (ভোটার) বস্লিপ এর ক্ষেত্রে স্লিপ নাম্বার এর পূর্বে NIDFN যুক্ত করে নিবেন)

৩। আপনার সঠিক জন্ম তারিখ উল্লেখ করুন, এবং ছবিতে থাকা ক্যাপচা করতে পূরণ করতে হবে

৪। আপনার স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা দিন (সঠিক ঠিকানা দিতে হবে)

৫।মোবাইল নাম্বার দিয়ে OTP ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।

৬। পরের ধাপে একটি QR কোড দেখতে পাবেন, এটি স্ক্যান করার জন্য প্লে স্টোর থেকে NID Wallet অ্যাপ ইন্সটল করুন এবং স্ক্যান করে আপনার মুখমন্ডল ভেরিফাই করুন।

৭। একাউন্টের সুরক্ষার জন্য একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে, একটি শক্ত এবং কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করুন।

৮। লগইন করে প্রোফাইল প্রবেশ করলে ডান পাশে ডাউনলোড বাটন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করলে পিডিএফ কপি ডাউনলোড হয়ে যাবে।

NID Card Download

Nid card download করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের একটি অনলাইন পোর্টাল চালু রয়েছে। services.nidw.gov.bd এই পোর্টালটি থেকে আপনি সহজেই আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

বিস্তারিত পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেখানো হলো –

ধাপ ১: Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

এনআইডি ডাউনলোড এর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। নতুন পুরাতন সব ভোটার নিবন্ধনের সকল তথ্যগুলো এই NIDW ওয়েব সাইটে সংরক্ষণ করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকে ক্লিক করুন।

ধাপ ২: ফরম নাম্বার/এনআইডি নাম্বার প্রদান করুন

প্রথমে services.nidw.gov.bd এ যান এবং NID নম্বর বা ভোটার স্লিপ নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে ফর্মটি পূরণ করুন। মনে রাখতে হবে আপনার যদি এনআইডি নাম্বার হয় তাহলে 10 সংখ্যার এন আই ডি নাম্বারটি দিতে হবে এবং যদি ভোটার স্লিপ হয়ে থাকে তাহলে ভোটার স্লিপের পূর্বে NIDFN যুক্ত করে নিতে হবে. উদাহরণ: NIDFN123456789

ধাপ ৩: ঠিকানা নির্বাচন করুন

আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করুন। এখানে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে, অর্থাৎ ভোটার নিবন্ধন করার সময় আপনি যেই ঠিকানা ব্যবহার করেছেন আপনাকে সেই ঠিকানা দিয়েই নিবন্ধন করতে হবে. অন্যথায় তিনবার ভুল ঠিকানা প্রদান করলে আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্লক হয়ে যাবে, পরবর্তীতে আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্টটি আনব্লক করতে হবে।

ধাপ ৪: মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন

একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে OTP (One Time Password) ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। পেইজে আপনার পূর্বে ব্যবহৃত নাম্বারটি দেখানো হবে আপনি চাইলে সে নাম্বারটি ব্যবহার করে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে পারেন। অথবা চাইলে নতুন একটি নাম্বার দিয়েও ভেরিফিকেশন করতে পারেন।

ধাপ ৫: ফেইস ভেরিফিকেশন করুন

আপনি  NID Wallet অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন (Face Verification) সম্পন্ন করতে পারবেন। এজন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন টা প্রথমে ইন্সটল করতে হবে এবং স্ক্রিনে দেখানো কিউআর কোডটি স্ক্যান করে নিতে হবে অ্যাপসের মাধ্যমে। এরপর আপনার চেহারার ডান বাম ঘুরে সোজাসুজি এবং চোখের পলক ফেলে ফেস ভেরিফিকেশনটি সম্পন্ন করতে হবে। মোবাইলে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে অটোমেটিক আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে

ধাপ ৬: পাসওয়ার্ড সেট করুন

আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা করার জন্য একটি শক্ত পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন, যাতে পরবর্তী যেকোনো সময়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার একাউন্টে লগইন করতে পারেন এবং এনআইডি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনা করতে পারেন। পাসওয়ার্ডটি সবসময় নোট খাতায় লিখে রাখুন।

ধাপ ৭: লগইন করুন এবং ডাউনলোড করুন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি ঘরে বসেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া যদি কোন ভুল থাকে, সংশোধনের জন্য অনলাইনে রিইস্যু আবেদন করে সংশোধিত এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা সম্ভব। এনআইডি কার্ডের গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে এটি সবসময় সংগ্রহে রাখা উচিত, কারণ এটি আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পরিচয়পত্র হিসেবে অপরিহার্য।

Leave a Comment