সোনা একটি অত্যন্ত মূল্যবান ধাতু, যা বিভিন্ন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোনার দাম দিনের প্রথম দিকে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ তারা বিভিন্ন কারণে সোনার দামের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চান।
বাজারের বর্তমান মূল্যই স্বর্ণের দাম নির্দেশ করে। স্বর্ণের ক্রয়মূল্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, স্বর্ণের দাম সরবরাহ ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। এছাড়া, অর্থনীতির অন্যান্য উপাদান যেমন মুদ্রার মান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বর্ণের দামের উপর প্রভাব ফেলে।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪: আজ বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কমেছে। চলুন, আজকের জন্য বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম দেখে নেওয়া যাক।
আজকের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- ২২ ক্যারেট হলমার্ক স্বর্ণ: ১১,৫৩২ টাকা প্রতি গ্রাম
- ২১ ক্যারেট হলমার্ক স্বর্ণ: ১১,০০৮ টাকা প্রতি গ্রাম
- ১৮ ক্যারেট হলমার্ক স্বর্ণ: ৯,৪৩৬ টাকা প্রতি গ্রাম
- সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ: ৭,৭৩৬ টাকা প্রতি গ্রাম
স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণ
স্বর্ণের দাম ওঠানামা করে আন্তর্জাতিক বাজার, সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য, এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। ক্রেতাদের পরামর্শ, বাজারের পরিস্থিতি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (BAJUS) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
১। আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব: বিশ্ব বাজারে সোনার চাহিদা বাড়লে তার দাম বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বা মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে, সোনার প্রতি চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যা দামকে উঁচু করে।
২। মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রার মান: যখন মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে বা কোনো দেশের মুদ্রার মান কমে যায়, তখন স্বর্ণকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে সোনার দাম বেড়ে যায়।
৩। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা: দেশের অভ্যন্তরীণ বা বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা (যেমন যুদ্ধ, সঙ্কট বা অন্যান্য সংকটকালীন পরিস্থিতি) স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়, কারণ এটি একটি নিরাপদ পণ্যের মতো বিবেচিত হয়।
৪। সরবরাহের ঘাটতি: সোনার উৎপাদন বা সরবরাহ কমে গেলে, তার দাম বাড়তে থাকে। খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের খরচ এবং প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে সরবরাহের ঘাটতি হতে পারে।
৫। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ: অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়, বিনিয়োগকারীরা সাধারণত সোনাকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেন, যা দামের ঊর্ধ্বগতি ঘটাতে পারে।
৬। আন্তর্জাতিক মুদ্রানীতি: বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মুদ্রানীতি, বিশেষ করে সুদের হার পরিবর্তন, সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে। যখন সুদের হার কম থাকে, সোনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, যা দাম বাড়ায়।
৭। বাণিজ্য যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক বাধা: বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সোনার বাজারে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলস্বরূপ দাম বাড়ে।