সোনা, একটি চিরকালীন মূল্যবান ধাতু, যার প্রতি মানুষের আকর্ষণ যুগ যুগান্তর ধরে অব্যাহত। প্রাচীনকাল থেকে সোনা সভ্যতার উন্নতির চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রাণী-রাজাদের মুকুট থেকে শুরু করে ধর্মীয় পূজা-পাঠের উপকরণ, সোনা সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার চকচকে রঙ, দুর্লভতা এবং টেকসই গুণের কারণে এটি মানব ইতিহাসে স্বর্ণের মতো মূল্যবান হয়ে উঠেছে।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও সোনার গুরুত্ব অসীম। এটি একদিকে যেমন সঞ্চয়ের মাধ্যম, তেমনি আর্থিক অস্থিরতার সময়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সোনা সংগ্রহ করে থাকে তার মুদ্রার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য। সোনার দাম সাধারণত বৃদ্ধি পায় যখন বৈশ্বিক অর্থনীতি অনিশ্চিত বা অস্থিতিশীল থাকে, কারণ এটি সাধারণত একটি “হ্যাভেন” হিসেবে বিবেচিত হয়।
২২ ক্যারেট সোনার বর্তমান দাম
বাজারের বর্তমান মূল্যই স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ক্রয়মূল্য সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। স্বর্ণের দাম মূলত সরবরাহ ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। এর পাশাপাশি, অর্থনীতির অন্যান্য উপাদান যেমন মুদ্রার মান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বর্ণের দামের ওঠানামায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ বাংলাদেশ আজকে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। আজকে বাংলাদেশ এবং ভারতে স্বর্ণের দাম জেনে নেই । নিম্নে ২২ ক্যারেট সোনার দেওয়া হলও
আজকের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম:
২২ ক্যারেট হলমার্ক স্বর্ণ: ১১,৮৯২ টাকা প্রতি গ্রাম
২১ ক্যারেট হলমার্ক স্বর্ণ: ১১,৩৫১ টাকা প্রতি গ্রাম
১৮ ক্যারেট হলমার্ক স্বর্ণ: ৯,৭৩০ টাকা প্রতি গ্রাম
সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ: ৭,৯৮৭ টাকা প্রতি গ্রা
সোনার দাম নানা কারণে ওঠানামা করে, এবং এটি বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন। সোনার দাম মূলত সরবরাহ এবং চাহিদার ওপর নির্ভর করে, তবে এর সঙ্গে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জড়িত থাকে।বিশদ জানতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (BAJUS) ভিজিট করুন।
ভারতে, ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি ১ গ্রামে ৭,৮০০ রুপি এবং ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি ১ গ্রামে ৭,১৫০ রুপি। সম্প্রতি, ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৭,২৭২ রুপি থেকে ৮,২০০ রুপির মধ্যে ওঠানামা করেছে।
সূত্র: GoodReturns (ভারতের জন্য) (GoldPriceIndia.com) (Goodreturns)
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণসমূহ:
১। মুদ্রার অবমূল্যায়ন: যখন মুদ্রার মান কমে যায়, তখন স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
২। বিনিয়োগের চাহিদা: অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে গ্রহণ করে, যার ফলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যেতে পারে।
৩। সরবরাহের সীমাবদ্ধতা: স্বর্ণ খননের প্রক্রিয়া সীমিত হওয়ায় সরবরাহ কমলে দাম বেড়ে যায়।
স্বর্ণের দাম কমার কারণ:
১। মুদ্রার মুল্যায়ন: মুদ্রার মান বাড়লে স্বর্ণের দাম কমতে পারে।
২। বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ: বেশি পরিমাণ স্বর্ণ বাজারে এলে দাম কমতে পারে।
৩। বিকল্প বিনিয়োগ: শেয়ার বাজার বা অন্য কোনো লাভজনক বিনিয়োগ মাধ্যমের চাহিদা বাড়লে স্বর্ণের দাম কমতে পারে।
![](https://desherkhobor.xyz/wp-content/uploads/2024/11/আজকের-সোনার-দাম.jpg)