আজ, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ রজব ১৪৪৬ হিজরি তারিখে বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম জানার আগ্রহ অনেকেরই। সোনার দাম সাধারণত ক্যারেট অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে, যেমন ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভিন্ন হয়। এই দাম প্রতি ভরি বা আনা হিসেবে নির্ধারিত হয় এবং প্রতিদিন বাজারে কিছুটা ওঠানামা করতে পারে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য,আমাদের ওয়েবসাইট বা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম ও ওয়েবসাইটগুলো থেকে সর্বশেষ আপডেট নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে আপনি সোনার বর্তমান বাজার মূল্য এবং ভরি অনুযায়ী ১৮, ২১ বা ২২ ক্যারেট সোনার দাম সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পেতে পারবেন।
সোনার দাম জানার সময় এসব বিভিন্ন ক্যারেটের সোনার মূল্যের তুলনা করলে, আপনাকে আরও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে যখন সোনা কেনার বা বিক্রির বিষয়টি আসে।
আজকে বাজারে সোনার দাম কত?।২২ ক্যারেট সোনার দাম কত ২০২৫।22 Carat Gold Price
আজ, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ রজব ১৪৪৬ হিজরি তারিখে বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম জানার আগ্রহ অনেকেরই। সোনার দাম সাধারণত ক্যারেট অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে, যেমন ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভিন্ন হয়। এই দাম প্রতি ভরি বা আনা হিসেবে নির্ধারিত হয় এবং প্রতিদিন বাজারে কিছুটা ওঠানামা করতে পারে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য,আমাদের ওয়েবসাইট বা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম ও ওয়েবসাইটগুলো থেকে সর্বশেষ আপডেট নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে আপনি সোনার বর্তমান বাজার মূল্য এবং ভরি অনুযায়ী ১৮, ২১ বা ২২ ক্যারেট সোনার দাম সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পেতে পারবেন।
সোনার দাম জানার সময় এসব বিভিন্ন ক্যারেটের সোনার মূল্যের তুলনা করলে, আপনাকে আরও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে যখন সোনা কেনার বা বিক্রির বিষয়টি আসে।
আজকে বাজারে সোনার দাম কত?
বিশ্ববাজারে সোনার দাম সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪৫ ডলারের বেশি বেড়েছে, যা বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, দেশের বাজারে সোনার দাম যে কোনো সময় বাড়তে পারে।
কিছুদিন আগে, বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বর সোনার দাম কমানো হয়েছিল, এর আগে ২৪ ডিসেম্বরও দাম কমানো হয়েছিল। তবে, বিশ্ববাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর, দেশের বাজারে সোনার দাম পুনরায় বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর সোনার দাম কমানোর পর, বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫৯৯ ডলার ছিল, যা এখন বেড়ে ২ হাজার ৬৮৫ দশমিক ৬০ ডলারে পৌঁছেছে—এটা এক সপ্তাহে ৮৬ ডলারের বৃদ্ধি, যার মধ্যে ৪৫ ডলার গত সপ্তাহেই বেড়েছে।
বিশ্ববাজারের সোনার মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে যে, দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং যে কোনো সময় সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে।
বিশ্ববাজারে গত ৩০ অক্টোবর সোনার দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭৮৯ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এর পরপরই বাংলাদেশে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। সর্বোচ্চ মূল্য ৩১ অক্টোবর ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকায় পৌঁছেছিল। তবে, এরপর বিশ্ববাজারে দাম কমতে শুরু করে এবং ১৪ নভেম্বর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫৪৭ দশমিক ১০ ডলারে নেমে আসে। সেই সময়ে, বাংলাদেশে সোনার দাম কমানো হয়েছিল।
এছাড়া, ৩০ ডিসেম্বর ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এভাবে, বিশ্ববাজারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের বাজারে সোনার দামও ওঠানামা করে থাকে এবং প্রতিনিয়ত নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজকের ১৮ ক্যারেট সোনার দাম – 18 Carat Gold Price
নিচে ১৮ ক্যারেট সোনার দাম দেওয়া হল:
সোনার পরিমাণ | দাম (বাংলাদেশি টাকা) |
৫ আনা | ৩৫,৩৫৬.৫৬ টাকা |
৬ আনা | ৪২,৪২৭.৮৮ টাকা |
৭ আনা | ৪৯,৪৯৯.১৯ টাকা |
৮ আনা | ৫৬,৫৭০.৫০ টাকা |
আজকের ২১ ক্যারেট সোনার দাম – 21 Carat Gold Price
নিচে ২১ ক্যারেট সোনার দাম দেওয়া হল:
সোনার পরিমাণ | দাম (বাংলাদেশি টাকা) |
২ আনা | ১৬,৫০০.১৩ টাকা |
৩ আনা | ২৪,৭৫০.১৯ টাকা |
৪ আনা | ৩৩,০০০.২৫ টাকা |
৫ আনা | ৪১,২৫০.৩১ টাকা |
আরও পড়ুন- সৌদির রিয়াল রেট বাংলাদেশী টাকায় কত? ১রিয়াল = কত টাকা।?
আজকের ২২ ক্যারেট সোনার দাম – 22 Carat Gold Price
নিচে ২২ ক্যারেট সোনার দাম দেওয়া হল:
সোনার পরিমাণ | দাম (বাংলাদেশি টাকা) |
২ আনা | ১৭,২৮৬.০০ টাকা |
৩ আনা | ২৫,৯২৯.০০ টাকা |
৪ আনা | ৩৪,৫৭২.০০ টাকা |
৫ আনা | ৪৩,২১৫.০০ টাকা |
সোনার ব্যবহার ও বিশিষ্টতা
সোনা এক প্রাচীন ধাতু যা তার সৌন্দর্য, স্থায়িত্ব এবং দুর্লভতার জন্য সর্বাধিক মূল্যবান। পৃথিবীতে সোনার ব্যবহার বহু যুগ ধরেই হয়ে আসছে, এবং এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোনার ব্যবহার এবং এর বিশিষ্টতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. গহনা ও অলঙ্কার
সোনা মূলত গহনা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। গহনা, বিশেষত গহনা তৈরিতে সোনার ব্যবহার বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সোনা যেমন শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি এটি সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। সোনার আংটি, চুড়ি, হার, কানের দুল, নেকলেস ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয়।
২. অর্থনৈতিক লেনদেন (বিতরণ এবং সঞ্চয়)
সোনা একটি বিশ্বস্ত বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন দেশে সোনা রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয় এবং এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। অনেক মানুষ সোনার বার, কয়েন বা গহনা কিনে এটিকে এক ধরণের সঞ্চয়ের উপায় হিসেবে ব্যবহার করে।
৩. চিকিৎসা
সোনার কিছু চিকিৎসা ব্যবহারও রয়েছে। আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সোনার আয়ন ও সোনার যৌগগুলি কিছু চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষত আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যা যেমন চিকিৎসায়। সোনার অণু বা যৌগ বিভিন্ন চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
৪. টেকনোলজি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা
সোনা উচ্চমানের তাপ ও বৈদ্যুতিক পরিবাহী, তাই এটি বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ, সার্কিট বোর্ড, মেমোরি চিপ, এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন পণ্যের উত্পাদনে ব্যবহৃত হয়। এর বিশেষ পরিবাহিতা এবং অম্ল ও ক্ষার থেকে সুরক্ষা এর মূল্যবান গুণাবলী।
৫. মুদ্রা এবং রিজার্ভ
প্রাচীনকাল থেকে সোনা ব্যবহৃত হয়ে আসছে মুদ্রা এবং রিজার্ভ হিসেবে। বিভিন্ন দেশে সোনার কয়েন ও সোনার মুদ্রা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে সোনার রিজার্ভ ব্যাংকগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
৬. ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে সোনার ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীন মিশর, রোম, ভারত, চীন, এবং অন্যান্য সভ্যতায় সোনা অত্যন্ত মূল্যবান ছিল এবং তা রাজ পরিবার, দেবতাদের পূজা ও সমাধি সজ্জায় ব্যবহৃত হত। সোনা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্ম, মূর্তি এবং সজ্জাবস্তু বিশ্বের বিভিন্ন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞানীরা গহনা তৈরি
বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানীরা সোনার গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন গবেষণা বা উদ্ভাবন করছেন। সোনা পৃথিবীর অন্যতম দুর্লভ ধাতু হওয়ায় এটি বিজ্ঞানীদের মধ্যে গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোনার বিশিষ্টতা:
- সোনা অত্যন্ত মজবুত এবং সৃষ্টির সময়েই এর গুণাবলী সেট হয়, যা কোনও ক্ষয় বা ধ্বংসের সম্মুখীন হয় না।
- এটি প্রায় সব ধরনের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে।
- সোনার গঠন এবং রং অপরিবর্তিত থাকে, যা এটিকে সবচেয়ে টেকসই এবং স্থায়ী ধাতু হিসেবে চিহ্নিত করে।